যে চারটি বিষয় কারো কাছে না বলাই ভালো



সবারই কিছু ব্যক্তিগত বিষয় থাকে । সম্পর্ক, তা সে যত গভীরই হোক, বন্ধুত্বের বা প্রেমের, সে সম্পর্কের মধ্যেও একটা সীমানা থাকে, যা পার না হওয়াই ভালো । এটি যেমন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে, তেমনি এর ফলে ব্যক্তির নিজস্বতাও বজায় থাকে । একান্ত ব্যক্তিগত এ বিষয়গুলো প্রেমিক বা প্রেমিকাকে জানানোর চেয়ে না জানালেই সমস্যা কম হয় ।


পরিবারকে অপছন্দ
কোনো যুক্তিসংগত কারণে সঙ্গী বা প্রেমিক-প্রেমিকার কোনো একজনের পরিবারের কোনো বিশেষ বিষয় অপরজনের পছন্দ না-ই হতে পারে । কিন্তু পরিবার প্রত্যেক ব্যক্তির কাছেই এতটাই স্পর্শকাতর যে এ সম্পর্কে সামান্যতম কটু কথাও মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে । ফলে বিষয়টা যদি গুরুতর না হয় তাহলে স্রেফ মানিয়ে নিয়ে চলার চেষ্টা করুন এবং মুখে কুলুপ এঁটে রাখুন । আর যদি সমস্যা এমন হয় যা দূর না করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে তাহলে তা নিয়ে ভালো করে ভাবুন । ভেবে বিষয়টা খুবই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে সঙ্গীকে বলুন। তবে লক্ষ রাখবেন, আপনার কথায় যেন আপনার অপছন্দের বিষয়টি সামনে না আসে বা প্রকাশিত না হয়। আপনি শুধু সমস্যাটির কথা জানান ।
বন্ধুর গোপন কথা
সে আপনার বন্ধু, তার গোপনীয়তা আপনি আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে বলে দেবেন না । আপনি ঘনিষ্ঠতম বন্ধু বলেই সে অন্য কাউকে না জানিয়ে আপনার সঙ্গে তার নিজের কথা বলেছে, সমস্যা বা সুখের কথা জানিয়েছে । আর আপনিও তো কখনো কখনো একইভাবে তার কাছে বা আপনার অন্য কোনো বন্ধুর কাছে নিজের কথা জানান । তাই বন্ধুর গোপন কথার এই আড়াল সঙ্গীর কাছে ভেঙে দেওয়া ঠিক হবে না । আর আসলে হয় কি, একটা ঘটনার অনেক দিক থাকে, যার পুরোটা না জানলে, না বুঝলে আপনার সঙ্গী কেন যে কেউই সে বিষয়ে ভুল বুঝতে পারে । তাই বন্ধুর গোপন কথা গোপনই থাক ।
অতীতের বিস্তারিত
সঙ্গী অবশ্যই আপনার অতীত সম্পর্কে জানতে চাইবেন । যেমন আপনিও তাঁরটা জানতে চান । এটাই স্বাভাবিক । জীবনসঙ্গীরা অবশ্যই পরস্পরের অতীত জীবনের নানান বিষয়-আশয় সম্পর্কে জানবেন । এই জানাটা অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনও । কিন্তু যে বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার তা হলো অতীত প্রেম বা দাম্পত্যের খুঁটিনাটি অনেক কিছু বিশদভাবে বা বিস্তারিত বিবরণে না বলা । এমন কিছু বিষয় না জানাটাই দুজনের জন্য স্বাস্থ্যকর, জানলে তা বরং অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে ।

SHARE THIS

Author:

Previous Post
Next Post